Thursday, January 28, 2010

মনবাড়ি

বিকেলটা একাকী হলে কেনো জানি প্রেরণামাখা চাপা ক্রোধগুলো অদৃশ্য বিশ্বাস জপে দেবদারুর ধিক্কার সহে বনপথে হাঁটে, পাতা ছিঁড়ে! কীভাবে বুঝাই বলো? পিপাসা এতো অধিক প্রিয় ছিল যে, কিছুটা দূরত্ব মাপা শেষে তার চোখের ভেতর ঢুকে পড়ে ভ্রমণস্পৃহা... আফালি হাওয়ার দেশে যাব বলে যে রহস্যগল্প এতো-এতো ভয়ের ভেতর জাগিয়ে তুলছে অভিজ্ঞতা, কী করে বলি তুমি আহত রক্তজবা। কাঁটাদাগসহ দূরত্ব মাপি- চোখ টেনে, বুক টেনে, মনবাড়ি ফিরি তার চাপা ক্রোধ মেখে...

কিছু থেকে গেলো জানার, আমাকেও থামাতে হচ্ছে অধিকার
চোখ টেনে, বুক টেনে, মনবাড়ি কি ফেরা হবে না তোমার?

অন্ধঘড়ি

গতি টেনে পাশাপাশি বসে গেলাম, হউক না সেও দীর্ঘ অবসর; অন্ধঘড়ির কাঁটার মতো ঘুরে ফিরে আসুক; রাত্রি গুনতে শিখুক মৃতসময়। জলঠোঁটে জমা পড়–ক ঘুমবালিশের পাঠ, আর অন্ধঘড়ির ভেতর আসা-যাওয়া ভলো। তবুও তুমি আঘাত করো রতিগন্ধা শাদা তীর; কেনো যে স্মরণ রাখি মনের ফিকির। এই শীতে কোথাও যাব না জেনে, আশা বালিকাটি কুয়াশামাখা রোদে মাপজোক নিচ্ছে ঘনত্বে; অথচ শীতরাত্রিরাও আমাকে জাগিয়ে রাখছে ঘুমপাহাড়ের দেশে...


গতি টেনে পাশাপাশি বসে গেলাম, আকাশ-বৃষ্টি-রজঃস্বলা...
আশা বালিকাটির রহস্যকাহিনী অন্ধঘড়ির মত ঘুরছে একেলা

মনচুরি- ভয়চুরি

মৃতসঙ্গ দূরে থাকা ভালো যেহেতু মিশে আছো আমাদের মাঝখানে; চুক্তি-কানাকড়ি এবার দেখি চুম্বনেচ্ছা কী করে টের পায় মনচুরি-ভয়চুরি! টেনে রাখা দিনের দৃশ্য আর ক’দিন ভাবাবে সেকথা ভাবলেই আমার সকল বিশ্বাস আলাদা হাসে; আলাদা পায় প্রাণ, আর আমাকে ফুরফুরে রাখে পুরনো সময়। এসো মৃতসঙ্গ হাত ধরাধরি শিখি; শিখি দূরে থাকার চৌহাদ্দি... মন ফুরালে কী হয়? মনভয় কেনো এতো রহস্যের ভেতর খুঁজে অস্থিরতা, ভয়। ভয়ের কি শব্দ হয়...


মৃতসঙ্গ দূরে থাকা ভলো, আমি গুনে নেবো পুরনো সময়
মনের রহস্য তুমি স্বস্তি পরে নাও, আমি পরি তৃষ্ণার্তহৃদয়

শেষ জীবন ছায়া

নিরিবিলি কথা চুপচাপ থাকা, হাসি কান্নার ভেতর শরীরকে রাখি ঝরঝরে, তরতাজা। সে আমার তৃতীয়জীবন। দ্বিতীয়জীবন সুখে দুঃখে বেঁচে থাকা। আর প্রথমজীবনানুভূতির জায়গাটা কি হবে না তোমার ছোঁয়া? লক্ষ্য বিন্দুর দূরে থেকেও এই তিন পায়ের শেষচাপ এতো বেশি ভাবায়, আত্মগরিমায় নয়, মানসিকতা আমাকে দেখায় শেষজীবনছায়া...

শেষজীবনটাকে আমি বেছে নেব, কোন জীবন তোমার কাছে প্রিয়
নিরিবিলি কথা চুপচাপ থাকা তোমাকে কি মানায় আমার সত্তায়

বৃষ্টিবন্ধু

আজ এই উৎসবের দিনে সাতসকালে পূর্বাকাশে সূর্যবন্ধুকে ডেকেছি। এসো, তোমার জলচুলে সিঁথি-সাঁতার কাটি; গেঁথে দেই একগোছা গোলাপ-চ্যামেলী-জুঁই। শুধু আজকের দিনে ‘পরান খুইল্যা কথা কও’...। আর একবার মন খুলে পাঠ করো, আমি যা ভাবি তাই যেন দীর্ঘ থেকে অতি দীর্ঘ হয়। বৃষ্টির পরানিয়া জল আজ মনে ধরছে খুব... তীব্র শীতের চাপে। এই ঊনত্রিশ যে শিকল পরতে জানে, সামাজিকতা মানে না...

অতিসহজ কথার ভেতর কাকে যেন পাঠ হল জানি না
সে কি জানে? ঊনত্রিশ কোনো সামাজিকতা মানে না

যৌথশোক

চোখের নজর ফলাও দূরে। ধরা পড়েনি তো আগে, দিনে দিনে বেড়ে ওঠে ভয়; বেঁচে যে আছি তাও ভয়ে-অভয়ে... ভিন্ন এক পথের মানুষ। দৃষ্টিমোহ যদি প্রশ্ন করো কেউ কি ঠকিয়েছে ভয়ের ভেতর? আস্থায় বলবো আমারও কি ঠকানোর ভয় ছিল কোন কালে? সহমত যেন ভরাযৌবনা আহ্বান টেমসের উথলাজল... আড়ালে খুলে রাখা এ-মধুবেদনা... যৌথ মনের শোক। বলি যৌথশোক, সব কথার ভেতর সম্মতি চাওয়া কী করে মানায়...


বলার অনেক, বলতে পারিনি কিছুই , থাক্ না মনে
সে ক্ষমতা দেয়নি যৌথশোক জমাতে পারিনি কলমে

মনচরাচর

তিনদিনের বেশি রাগ ধরে রাখতে পারি না বলে মন তুমি স্বস্তিতে থাকো, তবে কেনো গোপনে এতো দুঃখ পাওয়া! ‘আমাদের আবশ্যক সুখ’ একবার জানতে দাও। দিনের পর দিন কীভাবে বশে রাখো এতো বেশি রাগ! না-কি আমার ধারণাটুকু মিথ্যা ফলাবে আজ। সময় কিন্তু ফুরায় না আমার, কষ্ট হয়, দুঃখ হয়, মন খারাপ থাকে বন্ধুর সাথে সম্পর্ক হারানোর ভয়ে...

চাই তার বন্ধুর সাথে যোগাযোগ হউক আরো নিবিড়
আমি তাঁর কণ্ঠের ভেতর মনচরাচর, হারাই অষ্টপ্রহর